How to create a free blog and monetise with a smartphone?

How to create a free blog and monetise with a smartphone?


(Manipur) ধসে শহিদ জওয়ানদের প্রতি চৌরাস্তায় মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন পাহাড়বাসী৷ BGPM এবং GJM একসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা জানান৷ উল্লেখ্য, মণিপুর ভূমিধসে দার্জিলিংয়ের ১০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়৷ শনিবার মৃতদেহ আনা হয় তাঁদের৷ এই ঘটনায় পুরো পাহাড় শোকস্তব্ধ৷ জানা গিয়েছে, এদিন নিজের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিও বাতিল করেছেন অনিত থাপা৷ এমনকী পাহাড়ের সব ধরনের অনুষ্ঠান, বিজয় সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে৷ শনিবার পাহাড়ের (Darjeeling) দু’টি আঞ্চলিক দল, অনিল থাপার দল BGPM বিমল গুরুংয়ের দল GJM চৌরাস্তায় সকল শহিদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। GJM পার্টি থেকে রোশন গিরি, আশা গুরুং এবং BGPM থেকে পার্টির প্রধান নেতা উপস্থিত ছিলেন। সমস্ত শহিদ জওয়ানের ছবির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা। সেখানে স্থানীয় লোকজনও উপস্থিত ছিলেন৷ এদিন দার্জিলিংয়ের মানুষের ছিল শোকের দিন৷ কারণ ইতিহাসে এই প্রথম যে, একসঙ্গে ১০ জন জওয়ানের দেহ এল দার্জিলিংয়ে৷ এর আগে জওয়ানদের দেহ অবশ্যই এসেছে৷ তবে সেটা একটা অথবা দু’টো৷ তবে একসঙ্গে ১০ শহিদ জওয়ানের দেহ এর আগে কখনও আসেনি বলেই দাবি তাঁদের৷ সবেচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শহিদদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ এবং কেউ কেউ সদ্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ ১০ সেনা জওয়ানই পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে মণিপুরে গিয়েছিলেন৷ দার্জিলিং (Darjeeling) , কার্শিয়াং (Kurseong), মিরিক (Mirik) থেকে মণিপুরে (Manipur) গিয়েছিলেন তাঁরা৷ ভূমিধসে শহিদ হওয়ার পর তাঁদের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়৷ দেহ বিমানবন্দরে পৌঁছতেই জওয়ানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন অনিত থাপা। সেখানেই তিনি জানান, শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পাহাড়ের সব অনুষ্ঠান এদিন বাতিল করা হচ্ছে৷ এদিন সন্ধ্যায় পাহাড়ের প্রতিটি বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার বার্তা দেন তিনি৷ আরও জানান, শনিবার মোমবাতি র্যালি হবে। কুরসিওং চা বাগানে গৌরীশঙ্কর নামে এক জওয়ানের পরিবারের বাড়িতে দেহ পোঁছতেই পুরো এলাকার মানুষ সেখানে জড়ো হন। তাঁর বাবা বলেন, ‘‘২৯ জুন ওর সঙ্গে আমাদের শেষ কথা হয়েছিল৷ সেই দিনটি ছিল ওর জন্মদিন, এবং আমাকে বলেছিল যে, বাবা তুমি আমাকে আশীর্বাদ করবে না৷ আজ আমার জন্মদিন৷ আমি ওকে বলেছিলাম, আমি আশীর্বাদ করার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। এরপর মা এবং স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলে ও।’’ তিনি আরও বলেন যে, ‘‘পরের দিন আমরা শুনলাম যে ও ভূমিধসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।’’ মণিপুর (Manipur) ভূমিধসে শহিদ জওয়ান মার্কাস গুরুংয়ের বাড়িতে যান বিমল গুরুং৷ দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সিংমারি নবীন গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মার্কাস এবং তিনি সদ্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন৷ ২২ বছর বয়সি এই জওয়ান দু’ বছর আগে বিয়েও করেছেন বলে জানা যায়৷

How to create a free blog and monetise with a smartphone?



Post a Comment

0 Comments