How do I make my website enable to post file by another people who have login my site in blogger just like we did in Pinterest?

How do I make my website enable to post file by another people who have login my site in blogger just like we did in Pinterest?

How do I make my website enable to post file by another people who have login my site in blogger just like we did in Pinterest?



অঙ্কেশ সরেন “শনিবার স্কুল হাফ ছুটি হয়ে যায়। তখনই আমরা যে যার মতো আমাদের নির্দিষ্ট বাসে উঠে পড়ি। স্কুল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উপর উঠে শহরের দিকে বাসটি কিছুটা এগোতেই হঠাৎ করে একটি গর্তে পড়ে যায়। বাসের ভিতরে আমরা সবাই একে অন্যের ঘাড়ে পড়ে যাই। যেন মনে হল চারদিকটা অন্ধকার হয়ে গেল। তারপরই আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি”– কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে এমনটাই জানাচ্ছে মালদা (Malda) মানিকচকের লক্ষ্মীপুর মহাবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কেশ সরেন। যদিও তার শারীরিক আঘাত খুব বেশি লাগেনি। মালদা মেডিক্যাল ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে অঙ্কেশ। কেবল অঙ্কেশ নয়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসে থাকা ছাত্র বান্টি কুমার সিং, শুভজিৎ সিংরাও একইভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। তাদের আতঙ্ক যেন কাটছে না। মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বান্টি বলে, “আমাদের মধ্যে কেউ বসেছিল, কেউ দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎই বিকট শব্দ। কিছু মুহূর্তে যেন মনে হল চারদিকটা অন্ধকার হয়ে গেল।” আবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছে বলে মনে করছে শুভজিৎ। দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে শুভজিৎ বলে, “বাসটি পড়ে গেল গর্তে। আমাদের চিৎকারে আশেপাশের স্থানীয় মানুষজন সব ছুটে এল।” তারাই আমাদের উদ্ধার করল। এদিকে, বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে মালদা রেলওয়ে ডিভিশনের কর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন। মালদা রেলওয়ে ডিভিশনের ADRM সুজিত কুমার, জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া এমনকি মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় সহ রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিরাও মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Malda Medical College and Hospital) ছুটে যান এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত ছাত্রদের খোঁজ-খবর নেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়। অন্যদিকে, এদিনের দুর্ঘটনার পরই জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্কুলের সামনে স্পিড ব্রেকার বসানো হল। কেন্দ্রীয় মহাবিদ্যালয় যে বাসটি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল সেই বাসটি পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের।‌ সাধারণত রেলের কর্মী-আধিকারিকদের ছেলে মেয়েরাই এই বাসটি করে স্কুলে আসত। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে প্রায় ৩৫ থেকে ৩৮ জন। এদের মধ্যে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। কয়েকজন মালদা মেডিক্যালে ভর্তি এবং কয়েকজনের রেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, “এটা একটা বাস দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল সে ব্যাপারে চালককে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে যদি কারোর গাফিলতি থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়াও। অন্যদিকে, পূর্ব রেলের (Eastern Railway) মালদা রেলওয়ে ডিভিশনের ADRM সুজিত কুমার জানান, বাসটি রেলের। মেকানিক্যাল খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে বাসটির রীতিমতো পরিচর্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বাসটি স্কুল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠে শহরের দিকে আসার সময় দুটো বাচ্চা রাস্তা পার করছিল। বাসের চালক তাদের বাঁচাতে গিয়েই নয়ানজুলিতে পড়ে যায় বাসের চাকা। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য রেলের তরফে সম্পূর্ণভাবে দেখাশোনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।



Post a Comment

0 Comments