মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যারা তাদের জন্য কিছু বিষয় একটু নজর রাখতে হবে

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী  পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে এগুলো একটু মাথায় রেখো


যারা মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বা অন্য যেকোন পরীক্ষা দেবে তাদেরকে কয়েকটি দিক খেয়াল রাখতে হবে । সেগুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করবো, ঠিক কী কী বিষয়গুলিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। তো চলো এক এক করে দেখিনি।


.পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে মাথা থেকে সমস্ত টেনশন বা চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে হবে অর্থাৎ চিন্তা করলে চলবে না চিন্তা ছাড়া পরীক্ষা দিতে যেতে হবে।


তুমি যদি সব সময় পরীক্ষা নিয়ে চিন্তায় থাকো তাহলে তোমার পরীক্ষা কখনো ভালো হবে না তার জন্য চিন্তা মুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এটা মানতে হবে যে পরীক্ষার আগে চিনতে হবে কিন্তু সেটাকে নিয়ে অত ভাবলে চলবে না।



তোমাকে চিন্তা মুক্ত ভাবে পরীক্ষা দিতে হবে তবে তুমি ভালো অ্যানসার করতে পারবে। যদি তুমি সকল গুলো অ্যানসার না করতে পারো তাহলে তুমি ভালো রেজাল্ট করতে পাবে না তো সুতরাং চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।
যদি তুমি বেশি চিন্তা করতে থাকো তাহলে পড়াশোনাই তোমার মাথায় ঢুকবে না।


তুমি পরীক্ষার রুমে গিয়ে কোন প্রশ্নর অ্যানসার তুমি জানবে কিন্তু তাহলেও তুমি চিন্তা করতে করতে ভুল আনসার করে চলে আসবে। 

আবার হতে পারে অন্য একটি কোশ্চেন এর আন্সার তুমি এখানে দিয়ে ফেললে। এরকম ভুলভাল হয়ে যাবে এই প্রশ্নের অ্যানসার টা তুমি এখানে করলে। এইভাবে ভুল করে ফেলবে তাই তোমাকে চিন্তা মুক্ত থাকতে এবং সঠিকভাবে অ্যানসার করতে হবে।

২. পরীক্ষার রুমের ১৫ মিনিট আগে যখন তোমাকে খাতা দেয়া হবে। 


তখন পেপার টিতে তোমার নাম্বার রোল নাম্বার সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে লিখবে । লেখা হয়ে যাওয়ার পর একবার দেখে নেবে। সবকিছু ঠিক আছে কি না। দেখবে কোন কিছু ভুল না হয়!


এখানে কোনো রকম তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই এখানে ধীরে সুস্থে দেখেশুনে ভালো ভাবে  তুমি নাম্বার রেজিস্টশন লিখবে।


 যদি এগুলি ভুল হয়ে যায় তার পরীক্ষা দেওয়া বেকার সুতরাং এগুলো ঠিক ভাবে লিখতে হবে

৩. খাতাতে মার্জিন সঠিকভাবে টেনে ফেলবে। একবারে যে সকল পেইজ মার্জিন টানতে হবে এরকম কোন ব্যাপার নয় প্রথমে তোমার প্রয়োজন অনুসারে কয়েকটি পেইজ মার্জিন টেনে নেয় এবং পরবর্তীতে পেজ লাগলে মার্জিন টানবে

৪. প্রশ্নপত্র তোমাকে দেওয়া হলে প্রশ্নগুলি সঠিকভাবে সবগুলি একবার পড়ে নেবে এবং দেখবে কতগুলি প্রশ্নের উত্তর তুমি দিতে পারছ। সঠিকভাবে প্রশ্নপত্রটি পড়বার পর যেগুলি তুমি আগে পারবে সেগুলির অ্যানসার দিতে শুরু করবে।

এমন অনেক সময় হয়ে থাকে যে সিরিয়াল বাই সিরিয়াল উত্তর দেয়ার জন্য আমরা একটি প্রশ্ন না পারলেও সেটির পেছনে অনেক সময় দিয়ে ফেলি প্রশ্ন টি কে নিয়ে অনেক সময় ব্যয় করে ফেলি।

সুতরাং আমাদের তখন সময় কম হয়ে যায় সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য। তাই যে প্রশ্নটিই তুমি পারবে সেই প্রশ্নটির উত্তর আগে দেওয়ার চেষ্টা করবে যেটি পারবেনা সেটি কে নিয়ে পরবর্তীতে ভাববে।

৫. পরীক্ষার রুমে যে ভুলটি অনেক ছাত্র-ছাত্রী করেই থাকে সেটি হল-
একটি প্রশ্নের উত্তর তুমি পারছো না কিন্তু তুমি সেটা চেষ্টা করেই যাচ্ছ এবং একটা সময় কে বুঝলে এটা এখন হবে না আরো প্রশ্ন পড়ে রয়েছে সেগুলো লিখতে হব।

তখন তোমরা ওই জায়গাটি খালি রেখে চলে যাও অর্থাৎ পরবর্তীতে উত্তর লিখবে বলে পেজটি ফাঁকা রেখে যাও যেটি কিনা অত্যন্ত ভুল কাজ পেজটি ফাঁকা থাকার দরুন স্যার-ম্যাডামদের বুঝতে একটু অসুবিধা হয় এবং তাদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এবং তারা নম্বার কম দিয়ে ফেলে।

তো তার জন্য আমরা যে উত্তরটি আগে পারবো সেই সকল উত্তর গুলি আমরা আগে পেপারে এক এক করে লিখে নেব। কোনরকম গ্যাপ বা জায়গা না রেখে।

৬. যে সকল প্রশ্নের উত্তর তুমি দিয়েছো অর্থাৎ তুমি যে প্রশ্নের উত্তর গুলি পেরেছ সেগুলি আগে লিখে ফেলার পরে যেগুলি তুমিযেগুলি তুমি পারছিলে না সেগুলি নিয়ে তুমি একটু চেষ্টা করতে পারো যে সেগুলো তুমি পারো কিনা।


পরীক্ষার রুমে তুমি চেষ্টা করবে পরীক্ষার যে ট্রাইম তার ১৫ মিনিট আগে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেওয়ার।

যাতে ১৫ মিনিট আগে তুমি একবার করে দেখে নিতে পারো যে তুমি সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছো কি না অর্থাৎ কোনো রকম কোনো ভুল বা ত্রটি আছে কিনা।


৭. এর মধ্যে যদি তোমার কোনো প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তবে ক্লাস রুমে থাকা যে কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাছে তুমি জিজ্ঞেস করে নিতে পারবে।






Post a Comment

0 Comments